অনেক দিন আগে একটি বিরাট বাড়ী ছিল, সেখানে অনেক লোক বাস করত। কিছু দিন অগে সেই বাড়ীতে একটি ঘরে দুইটি লোক ঘর ভাড়া করেছে। এবং তারা আসার পর থেকে সেই বাড়ীর টিনের চালের উপর ছোট-বড় ও মাঝারী আকারের পাথর ও আস্তা ইট চালের উপর মারত যেন কে? এবং বাড়ীর সবাই মনে করত সেই বাড়ীতে নাকি ভুতের দৃষ্টি পরেছে। রাত ১টা ২ টা বাজলে ১-২ টা করে ঢিল মারার শব্দ শুনা যেত। আর সন্ধ্যার দিকে একটু বেশী করে ঢিল মারায় বাড়ীর বড়রা সহ ছোটরাও ভয় পেত ঘুমাতে পারত না কান্না করত। একদিন সেই বাড়ীর নতুন ভাড়া নেয়া ছেলেরা বলল আমরা পীরের কাছে যাব। তারা পীরের কথা বলে বাড়ী সন্ধ্যার দিকে বাড়ী থেকে এসে আধা ঘন্টা পর ১টি বোতলে জল ও ১টি তাবিজ নিয়ে যায়। এবং বোতলের জল রাস্তা থেকে একেবারে বাড়ীর পিছন পর্যন্ত ছিটিয়ে দিল। পরে সেই রাতে আর একটিও ঢিলের শব্দ শুনা যায়নি। তাই বাড়ীর অন্য লোকেরা বিশ্বাস করল যে, বাড়ীতে ভূতের দৃষ্টি পরেছে। বাড়ী পরে নীরব হয়ে গেছে। সকালে উঠে ঐ দু’জন ছেলেরা বলল পীরের কাছ থেকে জল ও তাবিজ আনতে তাদের ১’শ টাকা লেগেছে, তাই তারা বাড়ীর সবার কাছ থেকে ১’শ টাকা তোলে নিয়ে গেছে। কয়েকদিন পর আরও বেশী করে ঢিল পড়ছে চালের উপর। এখন বাড়ীর পিছন দিকে কয়েক’লোক গিয়ে হাতে-নাতে ধরতে পেরেছে নতুন ভাড়া নেয়া ঐ দু’ই ছেলেকে। একজন ঢিল মারার জন্য ইট ভাঙ্গছে আর অন্যজন ছোট পাথর হাতে নিয়ে ঢিল মারছে। তাদের দেখে তারা পরে বাড়ীতে ডেকে এনে জিজ্ঞাস করা হল তোমরা এতদিন ঢিল মেরেছ কেন? একজন বলেছে না আমি একটি মেরেছি ও অন্যজন বলছে আমি যে মেরেছি তার কী কোন প্রমাণ আছে? একথা বলার পরে বাড়ীর লোকজন তাদের দু’জনকে অনেক মেরেছে। এবং তাদের বলা হয়েছে ঘর ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য। এবং পীরের কাছ থেকে জল ও তাবিজের নাম করে যে টাকা নিয়েছে তা সবই মিথ্যা তারা নিজেই স্বীকার করেছে। তার পর থেকে আজ পর্যন্ত এ বাড়ীতে কোন ঢিল পরেনি। শেষে ঐ দু’ছেলের আরেক নাম ঢিল-ওয়ালা ভূতে পরিণত হল।