তারাগঞ্জের পশ্চিমপাড়ার সবচেয়ে বড় এবং পুরান দেবদারু গাছেই থাকত ভূতটা ।
বয়স আর কত হবে?
এই ধর হাজার দেড়েক!
এই ভূতটা ছিল ভীষণ রকম বোকা।
এ জন্য অন্য সব ভূত তাকে ‘বোকাভূত’ নামে ডাকত।
আর বোকা ভূতটা, নিজেকে কি ভাবত জান? তেমন বেশি কিছু না, নিজেকে কেবল জগতের সবচেয়ে বেশি চালাক ও বুদ্ধিমান ভাবত!
একদিন হল কি, জান? না বললে জানবে কি করে!
আচ্ছা বলে দিই, বোকা ভূতটা মাঝ রাতে রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে বাঁশি বাজাতে লাগল।
তার বাঁশি শুনে পাশের ঝোপ থেকে একটা শিয়াল পন্ডিত এসে হাজির।
শিয়াল পন্ডিত ভূতকে দেখে ভয়ে দৌড়াতে গিয়ে ভূতের সঙ্গেই খেল ধাক্কা। শিয়ালের ধাক্কা খেয়ে বোকাভূত তার প্রিয় বাঁশিটা ফেলল হারিয়ে । তারপর কত যে খুঁজল, তার হিসাব নেই। না পেয়ে বোকাভূতের হল ভীষণ রকম রাগ!
সে ঠিক করল, এইবার শিয়াল পন্ডিতকে আচ্ছা মত ভয় দেখাবে। সেই সুযোগ পেল একদিন।
সেদিন একটা কুকুর বেড়াতে এসেছিল বনে। আর বোকাভূত কুকুরকে শিয়াল ভেবে ভয় দেখাতে শুরু করল।
কিন্তু কুকুর কি আর ভূত ভয় পায়! কুকুরের গেল মেজাজ খারাপ হয়ে। বিরক্ত হয়ে সে বলল, আচ্ছা, ভূত তুমি আমাকে ভয় দেখাতে চাচ্ছ কেন, শুনি?
-আবার কেন বলছিস, বেকুব শিয়াল, তোর মনে নেই তোর জন্যই আমার শখের বাঁশিটা হারাতে হল।
কুকুর তো ভূতের কথা তেমন বুঝতে না পারলেও এইটুকু বুঝল, শিয়াল ভেবে তার পেছনে লেগেছে ভূতটা।
কিন্তু সে কোন ভাবেই ভূতকে বোঝাতে পারল না যে, সে শিয়াল নয়, কুকুর।
ভূত বলল, ভেবেছিস তোকে আমি চিনব না?
অতটা বোকা আমি নই। তোকে আমি ঠিক চিনেছি।
-আরে বললাম তো, আমি শিয়াল নই; আমি কু…কু…র।
-থাক আমাকে আর বোকা বানাতে হবে না। বাঁশি না দেয়া পর্যন্ত তোকে কিছুতেই ছাড়ব না তোকে।
এতক্ষণে ভড়কে গেল কুকুরটা। একা একা এই বনের মধ্যে ভূতের সঙ্গে বাহাদুরি করে কতক্ষণ আর টেকা যায়!
কিন্তু কি করবে সে,বুঝতে পারছিল না। মনে মনে নিজেকেই ধমকে দিল। কেন যে, জঙ্গলে এলাম!
-কিরে শিয়াল, মনে মনে কি বুদ্ধি আটছিস?
-দেখ তোমাকে আর কতবার বলব, আমি কু…কু…র।
ভূত হো… হো… হো… করে হেসে বলল, তাই বুঝি?
এই জন্যই তো লোকে তোকে পন্ডিত বলে।
বল বাঁশি দিবি কি দিবি না?
কুকুর কাঁদ কাঁদ হয়ে বলল, বাঁশি পাব কই?
বাঁশির খোঁজ জানি না তো!
-তাহলে ছাড়াও পাবি না, তোকে মরতেই হবে।
-কি মুশকিল? তুমি শুধু শুধুই আমাকে…
বলতে বলতে কেঁদে ফেলল কুকুরটা।
ভূত বলল, যতই কান্নাকাটি কর লাভ নেই, বাঁশি না দিলে তোকে ছাড়ব না আমি!
কোন পন্ডিতেই আজ কাজ হবে না। ভালই ভালই বলছি, বাঁশিটা দিয়ে দে। নইলে ঘাড় মটকে দেব কিন্তু।
শেষেমেশ কুকুর কোন উপায় না পেয়ে মনে মনে বুদ্ধি আটল। তারপর বলল, ও মনে পড়েছে তোমার বাঁশি পাওয়া গেছে।
-বেশ তো জলদি বল কোথায় রেখেছিস?
-তুমি এখানে থাক আমি এনে দিচ্ছি।
-না আমিও তোর সঙ্গে যাব।
-আচ্ছা, কিন্তু তার আগে আমাকে ওই সামনের জঙ্গলটাই নিয়ে চল। কুকুরটা জঙ্গল থেকে একটা লাঠি কুড়িয়ে ভূতের হাতে ধরিয়ে দিল।
-ভূত বলল এটা কি?
-আরে এটাই তো তোমার বাঁশি! নিজের বাঁশি নিজেই চিনছ না!
অনেকদিন জঙ্গলে পড়ে ছিল তো, একটু ধুয়েমুছে তারপর বাজিও।
ভূত বলল, ঠিক আছে,সেটা তোকে বলতে হবে না।
কুকুর বলল, আমি তাহলে যাই।
ভূত মাথা নেড়ে সম্মতি দিতেই কুকুরটা লেজ উঁচিয়ে দিল ভোঁ- দৌঁড়…!
বয়স আর কত হবে?
এই ধর হাজার দেড়েক!
এই ভূতটা ছিল ভীষণ রকম বোকা।
এ জন্য অন্য সব ভূত তাকে ‘বোকাভূত’ নামে ডাকত।
আর বোকা ভূতটা, নিজেকে কি ভাবত জান? তেমন বেশি কিছু না, নিজেকে কেবল জগতের সবচেয়ে বেশি চালাক ও বুদ্ধিমান ভাবত!
একদিন হল কি, জান? না বললে জানবে কি করে!
আচ্ছা বলে দিই, বোকা ভূতটা মাঝ রাতে রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে বাঁশি বাজাতে লাগল।
তার বাঁশি শুনে পাশের ঝোপ থেকে একটা শিয়াল পন্ডিত এসে হাজির।
শিয়াল পন্ডিত ভূতকে দেখে ভয়ে দৌড়াতে গিয়ে ভূতের সঙ্গেই খেল ধাক্কা। শিয়ালের ধাক্কা খেয়ে বোকাভূত তার প্রিয় বাঁশিটা ফেলল হারিয়ে । তারপর কত যে খুঁজল, তার হিসাব নেই। না পেয়ে বোকাভূতের হল ভীষণ রকম রাগ!
সে ঠিক করল, এইবার শিয়াল পন্ডিতকে আচ্ছা মত ভয় দেখাবে। সেই সুযোগ পেল একদিন।
সেদিন একটা কুকুর বেড়াতে এসেছিল বনে। আর বোকাভূত কুকুরকে শিয়াল ভেবে ভয় দেখাতে শুরু করল।
কিন্তু কুকুর কি আর ভূত ভয় পায়! কুকুরের গেল মেজাজ খারাপ হয়ে। বিরক্ত হয়ে সে বলল, আচ্ছা, ভূত তুমি আমাকে ভয় দেখাতে চাচ্ছ কেন, শুনি?
-আবার কেন বলছিস, বেকুব শিয়াল, তোর মনে নেই তোর জন্যই আমার শখের বাঁশিটা হারাতে হল।
কুকুর তো ভূতের কথা তেমন বুঝতে না পারলেও এইটুকু বুঝল, শিয়াল ভেবে তার পেছনে লেগেছে ভূতটা।
কিন্তু সে কোন ভাবেই ভূতকে বোঝাতে পারল না যে, সে শিয়াল নয়, কুকুর।
ভূত বলল, ভেবেছিস তোকে আমি চিনব না?
অতটা বোকা আমি নই। তোকে আমি ঠিক চিনেছি।
-আরে বললাম তো, আমি শিয়াল নই; আমি কু…কু…র।
-থাক আমাকে আর বোকা বানাতে হবে না। বাঁশি না দেয়া পর্যন্ত তোকে কিছুতেই ছাড়ব না তোকে।
এতক্ষণে ভড়কে গেল কুকুরটা। একা একা এই বনের মধ্যে ভূতের সঙ্গে বাহাদুরি করে কতক্ষণ আর টেকা যায়!
কিন্তু কি করবে সে,বুঝতে পারছিল না। মনে মনে নিজেকেই ধমকে দিল। কেন যে, জঙ্গলে এলাম!
-কিরে শিয়াল, মনে মনে কি বুদ্ধি আটছিস?
-দেখ তোমাকে আর কতবার বলব, আমি কু…কু…র।
ভূত হো… হো… হো… করে হেসে বলল, তাই বুঝি?
এই জন্যই তো লোকে তোকে পন্ডিত বলে।
বল বাঁশি দিবি কি দিবি না?
কুকুর কাঁদ কাঁদ হয়ে বলল, বাঁশি পাব কই?
বাঁশির খোঁজ জানি না তো!
-তাহলে ছাড়াও পাবি না, তোকে মরতেই হবে।
-কি মুশকিল? তুমি শুধু শুধুই আমাকে…
বলতে বলতে কেঁদে ফেলল কুকুরটা।
ভূত বলল, যতই কান্নাকাটি কর লাভ নেই, বাঁশি না দিলে তোকে ছাড়ব না আমি!
কোন পন্ডিতেই আজ কাজ হবে না। ভালই ভালই বলছি, বাঁশিটা দিয়ে দে। নইলে ঘাড় মটকে দেব কিন্তু।
শেষেমেশ কুকুর কোন উপায় না পেয়ে মনে মনে বুদ্ধি আটল। তারপর বলল, ও মনে পড়েছে তোমার বাঁশি পাওয়া গেছে।
-বেশ তো জলদি বল কোথায় রেখেছিস?
-তুমি এখানে থাক আমি এনে দিচ্ছি।
-না আমিও তোর সঙ্গে যাব।
-আচ্ছা, কিন্তু তার আগে আমাকে ওই সামনের জঙ্গলটাই নিয়ে চল। কুকুরটা জঙ্গল থেকে একটা লাঠি কুড়িয়ে ভূতের হাতে ধরিয়ে দিল।
-ভূত বলল এটা কি?
-আরে এটাই তো তোমার বাঁশি! নিজের বাঁশি নিজেই চিনছ না!
অনেকদিন জঙ্গলে পড়ে ছিল তো, একটু ধুয়েমুছে তারপর বাজিও।
ভূত বলল, ঠিক আছে,সেটা তোকে বলতে হবে না।
কুকুর বলল, আমি তাহলে যাই।
ভূত মাথা নেড়ে সম্মতি দিতেই কুকুরটা লেজ উঁচিয়ে দিল ভোঁ- দৌঁড়…!