এক যুবকের লাশ

মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর উপজেলায় পুখুরিয়া এলাকায় একবার অজ্ঞাত এক যুবকের লাশ উদ্ধার
করে পুলিশ। সেই লাশটির কোনও নাম পরিচয় পাওয়া না যাওয়ায় তকে বেওয়ারিশ লাশ
হিসেবে দাফন করা হয়। পরদিন সকালে স্থানীয় কয়েকজন কবরটির উপরের মাটি সরে
থাকতে দেখে এলাকার পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে তাদের লোক নিয়ে কবর খুঁড়ে দেখে
কবরটি ফাঁকা, এবং সেখানে শুধু কাফনের কাপড় পড়ে আছে।

এই ঘটনার পর থেকে স্থানীয় মানুষের অনেক গরু ছাগল খুব দ্রুত কোনও কারণ ছাড়াই মারা
যেতে লাগলো। এমন অদ্ভুত রোগ কেউ কখনো দেখে নি। তাদের গরু বা ছাগলগুলো খোওয়ারে
মরে থাকতো এবং গাঁয়ে কোনও রক্ত থাকতো না।

কেউ যেনও রক্ত চুষে নিয়েছে সেগুলোর গা থেকে। ভয়ে অনেক গৃহস্থ সেই এলাকায় গরু
ছাগলগুলো বিক্রি করে দেয়। এলাকার স্থানীয় কৃষক, বাচ্চু মিয়াঁ একবার নিজের খোওয়াড়ে
অদ্ভুত শব্দ পেয়ে উঁকি দেন। তখন সন্ধ্যা মাত্র হয়েছে। তাই ফাঁকফোকর দিয়ে খোওয়াড়ে
আলো পড়ছে খানিকটা। সেই আলোতে তিনি দেখলেন তার একটা গরু মরে পড়ে আছে এবং তার
উপর এক অদ্ভুত মানুষসদৃশ প্রাণী চেপে বসে আছে।

সেই প্রাণীটি ঐ গরুর গলায় কামড় দিয়ে ধরে যেনও রক্ত খাচ্ছে। ভয়ে বাচ্চু মিয়াঁর গলা
দিয়ে আঁতকে উঠার শব্দ বের হয়। সাথে সাথে ঐ বস্তুটি বাচ্চু মিয়াঁর দিকে চোখ তুলে
তাকায়। খানিকটা অন্ধকারেও সেই বস্তুর চোখ থেকে নীল আলোর মতো বের হচ্ছিল। এরপর
তা খুব দ্রুত খোওয়াড়ের পাশে জানালা দিয়ে বের হয়ে পাশের ক্ষেতের মধ্যে ঢুকে পড়ে।
বাচ্চু মিয়াঁর ভাষ্যমতে, ঐ বস্তু মানুষের মতই দৌড়চ্ছিল। তবে খুব দ্রুত। প্রায় চোখের
পলকে হারিয়ে যায় বস্তুটি। ঐদিনের পর থেকে ঐ গ্রামে আর কোনও গৃহপালিত পশু মরার
কথা শোনা যায় নি।


Must Comment: